মামুনুর রশিদ: কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে ও ইউনিয়নগুলোর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে অবাধে মাদক ব্যবসা চলার সুনির্দিষ্ট কিছু স্থানের অভিযোগ রয়েছে। আর এসব চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের প্রকাশ্য অবাধ বিচরণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।
এলাকায় মাদক সংক্রান্ত অপরাধ কর্মকান্ড দমনের লক্ষে,অজানা ভয়ে কেউ কিন্তু মুখ খুলতে পারছে না। আর প্রশাসনও এ ব্যাপারে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, শহরের পূর্ব তারাপাশা ও সিদ্ধেশরীবাড়ি মোড় সংলগ্ন পট্টি নামে বস্তিতে অবাধে মাদক গাঁজা ও ইয়াবা ব্যবসা চলে আসছে।এলাকা টিতে মাদকসেবীদের নিরাপদ স্থান হওয়ায় এখানে নির্বিঘ্নে তারা প্রতিদিন বিকেল থেকে মধ্যরাত অবধি বস্তির বিভিন্ন ঘরে ফেনসিডিল, ইয়াবা,গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন এবং সংগ্রহ করে নিরাপদ আশ্রয়স্হানে নিয়ে সেবন করে।
কিশোরগঞ্জ রেল স্টেশনসহ আশপাশের স্থানগুলোতে দেখাগেছে রাত বাড়তে থাকলে রেল লাইনের আশপাশে বাড়িগুলোতেও মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিদ্ধেশ্বরীবাড়ি এলাকার একাধিক বাসিন্দারা জানায়,সিদ্ধেশ্বরীবাড়ি মসজিদের দক্ষিণের বস্তিটি এখন মাদকের পট্টি নামে পরিচিতি পেয়েছে মাদকসেবিদের কাছে।
এইদিকে মনিপুরঘাট ব্রিজের কাছে ও বত্রিশ সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পৌর মহিলা কলেজের পার্শে কিছু উঠতি বয়সের বেকার যুবক ছেলেরা মাদক ক্রয় বিক্রয় করে এবং সরু গলির ভিতর পরিত্যক্ত একটি ঘরে সেবনের নিরাপদ আস্তানা গড়ে তুলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাদের আচারণে ভুক্তভোগী সচেতন নাগরিকরা বলেন, এসব মাদক ব্যবসায়ী ও গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে গোপনে বিভিন্ন দপ্তরে বলা হলেও অজ্ঞাত কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না।
এলাকাবাসী আরো জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে ওই এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনেকদিন বন্ধ থাকায় সেখানকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতেও ইয়াবা তুলে দিচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা।
তবে কিশোরগঞ্জ র্যাব-১৪ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করলেও পুলিশ প্রশাসন ও অন্য দপ্তরের এমন ভূমিকা নিয়ে সুশীল সমাজ প্রশ্ন তুলছেন।
(পর্ব ১)চলবে…
মানব চেতনা/এমআর