নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জ র্যাব-১৪ এর সিপিসি-২, এর পৃথক পৃথক অভিযানে ৭শ ৫০পিস ইয়াবা ও ঊনষাট বুপ্রেনরসিন ইনজেকশনসহ নগদ সাত হাজার টাকা দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।
আজ (২৬ এপ্রিল) জেলার সদর থানাধীন শোলাকিয়া এলাকা হতে আনুমানিক ১২টা ৩০ মিনিটে শোলাকিয়া কানিকাটা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাশিমের ছেলে, বাদল মিয়াকে(৪৫) ঊনষাট পিস বুপ্রেনরফিন ইনজেকশন ও অন্যদিকে গতকাল (৫ এপ্রিল) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানাধীন অরুয়াইল বাজার এলাকা হতে পাকশিমুল গ্রামের বাসিন্দা মৃত নুর ইসলামের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আয়নাল হক ওরফে আইনুলকে(৩৪), সাতশত পঞ্চাশ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও দুইটি মোবাইল ও নগদ সাত হাজার টাকাসহ র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প এর একটি আভিযানিক দল গ্রেফতার করে।
র্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদক সংক্রান্ত অপরাধ কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে মাদকের করাল গ্রাস থেকে যুব সমাজ তথা দেশকে বাঁচাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
র্যাব-১৪, সিপিসি-২, এর উপ-পরিচালক কোম্পানি কমান্ডার মেজর শাহরিয়ার মাহমুদ খান জানান কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী কিশোরগঞ্জ’সহ আশেপাশের জেলাগুলোতে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে পাইকারি/খুচরা বিক্রয় করে আসছে।
উক্ত তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মাদক ব্যবসায়ীদের উপর র্যাবের নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী চালানো হয় এবং তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে ধৃত আসামীরা মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের কথা স্বীকার করে।
উক্ত বিষয়ে ধৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানায় ও কিশোরগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানায় ০২টি পৃথক পৃথক মামলা দায়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মানব চেতনা/এমআর